
যেন কার পায়ের ছাপ
ছোটবেলার পুজোর দিনগুলো ছিল সোনালী। তখন পুজো মানেই মায়ের হাত ধরে বিভিন্ন প্যান্ডেলে। সাথে বাবা। পিসি। তখন থিমের পুজো ছিল না। দেবীরও আগে মা ঠাকুর ছিলেন। উৎসবের সার্বিক চিৎকারের বদলে তখনও কিছুটা ছিল প্রার্থনার গাম্ভীর্য। আর ঠাকুর দেখা মানেই ছিল এগরোল। বহরমপুর পুজোয় দুভাগ হয়ে যেত। এদিক আর ওদিক। এদিক ছিল গোরাবাজার। ওদিক ছিল খাগড়া। অভ্যুদ্দয় সঙ্ঘ, অজানা সঙ্ঘ, স্পোর্টিং ক্লাব, রাণীপুকুর, রাখী সঙ্ঘ, বাগানপাড়ার পুজো, এগুলো ছিল বহরমপুরের এদিককার, মানে গোরাবাজার ও বাবুপাড়া সংলগ্ন এলাকার বিখ্যাত কিছু পুজো। ছোটবেলায় দেখতাম লালদিঘীর ওপরেই পুজো হত। পাঁচদিন আগে শুরু হত “লাইটিং”। সে এক এলাহী আয়োজন। স্পোর্টিং ক্লাবের আলোকসজ্জা প্রথম হত প্রতিবার। আবার ওদিকে, মানে খাগড়া এলাকায় ছিল মোল্লাগেড়ের পুজো, স্বর্গধাম, ভৈরবতলার পুজো, কাশীমবাজার রাজবাড়ির পুজো, ইত্যাদি।